ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

পেকুয়ায় পাহাড়ের বালি পাচারে রাস্তা তৈরির সময় গুলাগুলি, শিশুসহ আহত-৩

pekua-dc-newপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় দুর্গম পাহাড়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলাগুলি হয়েছে। এ সময় মা ও পাঁচ বছর বয়সের শিশুসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার জের ধরে পাহাড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়া হারকিলারদ্বারা এলাকায়। আহতরা হলেন বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আহমদের স্ত্রী জোৎ¯œা বেগম (৩০), তার শিশু পুত্র মো.সাজ্জাত (৫) ও টইটং রমিজপাড়ার মৃত.কালামিয়ার ছেলে মো.লাতুমিয়া (৫০)। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে ওইদিন টইটং হারকিলারদ্বারা এলাকায় সামাজিক বাগানের পাহাড় কেটে বালি পাচারের জন্য রাস্তা তৈরি কাজ চলছিল। সোনাইছড়ি ছড়া থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছিলেন একই ইউনিয়নের মো.লাতুমিয়া, নুরুল হকের ছেলে আহমদ ছফা, মো.হোসেনের ছেলে জিয়াবুল, নুরুল হকের ছেলে সাকের, নুরুল কবিরের ছেলে আব্দুল মালেক, মৌলভীপাড়ার বাদশাহর ছেলে শাকেরসহ ৮/১০জনের একটি সিন্ডিকেট। তারা পাহাড়িয়াখালী এলাকার জাফর আহমদের বাগানের উপর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি করছিলেন। ঘটনার দিন সকালে জাফর আহমদেও স্ত্রী জোৎ¯œা বেগম বাধা দেয়। এ সময় লাতুর নেতৃত্বে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই মহিলাকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তার পাঁচ বছরের শিশুকেও মারধর করে। এ খবর স্বামী ও তার ছেলে আলমগীর জানার পর তারা দ্রুত ওই স্থানে ছুটে যান। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে গুলাগুলি হয়। এতে তারা আহত হয়েছে। স্থানীয়রা জানায় লাতু প্রায় দেড় ডজন মামলার আসামি। একটি হত্যা মামলায় তিনি অনেকদিন জেলে ছিলেন। গত দু’বছর আগে বের হন। এরপর থেকে টইটং দুর্গম পাহাড়ে তার নেতৃত্বে স্বসস্ত্র অস্ত্রধারীরা পাহাড় নিধন, গাছ পাচার, বালি পাচারসহ নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। জাফর আহমদেও ছেলে বারবাকিয়া ইউপির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানায় মারপিটের বিষয়টি জেনেছি। আমি দু’দিন ধরে অসুস্থ। বের হতে পারছিনা। লাতুমিয়া জানায় পাহাড়ের অল্প অংশ কেটেছি। বালি পরিবহনের জন্য রাস্তা সংস্কার করছিলাম। জাফর আহমদ ও তার ছেলে আলমগীরসহ ২০-৩০জন এসে গুলি চালায়। জাফর আহমদ জানায় এ স্থানে আমি বাগান করছি। আহমদ ছফা, লাতু, দু’সাকেরসহ ডাকাতরা আমার জায়গা কেটে ফেলে। তারা বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেয়। আমার স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। গুলি করেছে লাতু বাহিনী। পেকুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার জানায় মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। গুলি বর্ষনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: